সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-রামপ্রসাদ সাউ
এসপিটি নিউজ, বেলপাহাড়ি, ১৯ জানুয়ারিঃ তবে কি মাওবাদী উপদ্রব ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে?শান্ত জঙ্গলমহলে কি নতুন করে কেউ অশান্তির আগুন ছড়ানোর চেষ্টা করছে? হ্যাঁ, মাত্র ১৫দিনেরও কম সময়ের ব্যবধানে রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ পুরকায়স্থ জঙ্গলমহল সফর কিন্তু এই প্রশ্নগুলিকে তুলে দিয়ে গেল। যদিও রাজ্য পুলিশ প্রধানের সাফ কথা-না, জঙ্গলমহল এলাকায় মাওবাদী গতিবিধির কোনও খবর নেই।
শুক্রবার দুপুর বারোটা চল্লিশ নাগাদ রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ পুরকায়স্থ বেলপাহাড়ির ঝাড়খণ্ড রাজ্য সীমানা লাগোয়া ছুড়িমারা স্ট্রাকো ক্যাম্প সংলগ্ন মাঠে কপ্টারে নামেন। সেখান থেকে তিন ঐ ক্যাম্পে পৌঁছন। ক্যাম্পে তিনি এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন।যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের আইজি পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্র, আইজি সিআইএসএফ অজয় নন্দা, ডিআইজি মেদিনীপুর রেঞ্জ বাস্তব বৈদ্য সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিভিন্ন আধিকারিক।এছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আর অর্জুন ও পশ্চিম মেদিনিপুরের এসপি অলোক রাজোরিয়া, পু্রুলিয়া এবং বাকুড়ার এসপি।
ক্যাম্পে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর ডিজি বাঁশপাহাড়িতে সিআরপিএফের ক্যাম্পটি পরিদর্শন করতে যান।সেখান থেকে ফিরে এসেই সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।বর্ডার এলাকায় থানা বাড়ানো হবে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে জানান এটা রুটিন মাফিক হয়ে থাকে।একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সীমানা এলাকায় মাওবাদীদের যাতায়াতের কোনও খবর নেই।মানুষের সাথেও পুলিশের সংযোগ এখন অনেক বেড়েছে।পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, পুলিশের বিরুদ্ধে যদি নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকে তবে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।
একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মাওবাদীদের ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া এলাকায় গতিবিধির খবর রয়েছে।অস্ত্র ছাড়া তারা সীমানা পেরিয়ে বেলপাহাড়ি-সহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে শাসক দলের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে জনমত গঠন করার চেষ্টাও চালাচ্ছে।সেটা যদি ঠিক হয়, তবে সেই দিক থেকে ডিজির মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা পরিদর্শন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।