Published on: অক্টো ১৩, ২০২২ @ ২৩:৫১
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৩ অক্টোবর: এবার দুর্গাপুজোয় একটি মন্ডপে মা দুর্গার অসুর হিসাবে দেখানো হয়েছিল গান্ধিজিকে। এটা জানার পর থেকে শোরগোল পড়ে যায়। বিষয়টি অত্যন্ত কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করে প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার ভবানীপুরে বিজয়া সম্মিলনীতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে মুখ খুললেন। সেই সঙ্গে তিনি জানালেন- কেন তিনি এই নিয়ে আগে মুখ খোলেননি। একই সঙ্গে এই ঘটনাকে তিনি অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন।
‘যখনই আমার নজরে এসেছে পুলিশ গিয়ে ওই মূর্তি হটিয়ে দিয়েছে’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত মানুষদের কাছে একটা ছোট্ট প্রশ্ন রাখেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল- গান্ধিজিকে আপনারা দেশের নেতা হিসাবে মানেন কি মানেন না? আমি এখানে উপস্থিত সকলকে জিজ্ঞাসা করছি?যারা কথায় কথায় বলেন- মমতাজি তো দুর্গা পুজো নেহি করনে দেতা হ্যায়। আপনারা একটা পুজো করেছেন সেখানে আপনারা গান্ধিজিকে অসুর বানিয়ে দিয়েছেন। এর শাস্তি কি হতে পারে। শাস্তি আমি দেব না। দেবে জনতা। এটা অত্যন্ত লজ্জার কথা। আমরা তো জানতেই পারি নি, আরে গান্ধিজিকে অসুর বানিয়ে দিয়েছে। মা দুর্গা গান্ধিজেকে ত্রিশুল দিয়ে মারছে। যখনই আমার নজরে এসেছে পুলিশ গিয়ে ওই মূর্তি হটিয়ে দিয়েছে। এরপর সেখানে তড়িঘড়ি অসুরের মূর্তি এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা গন্ডগোল চাই না। আমরা শান্তি চাই। মা দুর্গার অসুর বানানো হল আমাদের দেশের এক নম্বর নেতা গান্ধিজিকে। একথা বলতে আমার লজ্জা করছে।”
এখানে না থেমে তিনি এরপর জানান যে কেন তিনি এতদিন এ নিয়ে একটা কথাও বলেননি। “আমি সেই দিন থেকে দুখী ছিলাম। কিন্তু আমি এই নিয়ে কিছু বলিনি। আমি চাইনি এ নিয়ে পুজোর মধ্যে কেউ দুঃখ পাক। এনিয়ে লোকজন প্রতিবাদ করতে শুরু করতো। কি ভাবে এরা। আজ তোমরা ক্ষমতায় আছো, তাই তোমরা এজেন্সিকে পাঠাচ্ছো। কাল যখন তোমরা ক্ষমতায় থাকবে না তখন এজেন্সি তোমাদের ঘরে গিয়ে তোমাদের দুই কান মুলে দিয়ে আসবে। এরা যা শুরু করেছে একদিন জনতার দরবার এদের কান মুলে দেবে, এটা মাথায় রাখবেন।”
বিজয়া সম্মিলনীতে তাদের নাম বলতেও আমার ভালো লাগে না-মমতা
হাজারটা ধর্ম, হাজারটা কাস্ট। সবচেয়ে বড় মিল হচ্ছে একতা এবং সম্মান। আমি ইদানিং লক্ষ্য করি – সবাই নয়, দেখুন এই জগতে ভালো-খারাপ দুই আছে। কয়েকটা পলিটিক্যাল পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস নিশ্চয়ই নয়, তাদের নাম বলতেও বিজয়া সম্মিলনীতে আমার ভালো লাগে না। দেখবেন কতগুলি ডিজিট্যাল বের করেছে। কতগুলি ভিডিও তৈরি করে। এমন এমন ভাষা ইউজ করছে, নাটক তৈরি করে সাজিয়ে গুজিয়ে এমন ভাষা প্রয়োগ করছ্ এমন এমন কথা বলছে যেন মনে হচ্ছে কত বড় বড় দিজ্ঞজ এরা।বড় বড় তিরন্দাজ সব।ভাষার বড় বড় তিরন্দাজ। আমি সেই তিরন্দাজদের কাছে জিজ্ঞাসা করি- ভেবেছিলাম এই বিজয়া সম্মিলনীতে একটাও পলিটিক্যাল কথা বলবো না।আপনি ভাবলেন চারটে ডান্ডা নিয়ে গেছে, আর তৃণমূল টপকে গেছে- না, না ওটা ভুল। তৃণমূলটা জোড়া ফুল। এখন সবাই কুল কুল। এখন উৎসবের মরশুম চলছে। উৎসব মরশুমে আমরা এসব করি না। মানুষের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা আছে।” বলেন মমতা।
ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মমতা
ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মমতা। তিনি বলেন- একটা পুজোকে কেন্দ্র করে ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। যারা জিজ্ঞাসা করে কেন ক্লাবকে টাকা দিলেন তারা একবারও জিজ্ঞাসা করে- ফুচকাওয়ালার ফুচকাটা কেমন খেলে? ঝালমুড়িওয়ালার ঝালমুড়ি কেমন খেলে? অথবা রোলটা রাস্তায় কেমন খেলে? সারা রাত ঘুরে বেড়ালে সাথে যদি একটু টুকটাক খাদ্য না থেকে তাহলে কি হবে! পুজোতে সবচেয়ে লাভ হচ্ছে গরিব লোকদের। সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হয়। ঢাকিদের কথাই ধরুন না। কত ঢাক আসে বলুন তো।
Published on: অক্টো ১৩, ২০২২ @ ২৩:৫১