Published on: আগ ৯, ২০২৩ @ ২১:২৪
এসপিটি নিউজ, নয়াদিল্লি, ৯ আগস্ট: ভারতে বর্তমানে মোট ২২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।এই কাজে ন্যাশনাল হাইওয়ে অফ অথরিটি (এনএইচএআই) দ্বারা গৃহীত চার/ছয় লেনের কাজের রাজ্যভিত্তিক বিশদ সংযুক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে আজ রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়করি সংশ্লিষ্ট তথ্য জানিয়েছেন।
সেই তথ্য অনুযায়ী, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির প্রকল্পগুলি সাধারণত মন্ত্রক তার অন্যান্য নির্বাহক সংস্থা যেমন জাতীয় সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল), সীমান্ত সড়ক সংস্থা (বিআরও) এবং বিভিন্ন রাজ্য গণপূর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি) এর মাধ্যমে গ্রহণ করে। ত্রিপুরা রাজ্যে, প্রায় ২৫ কিমি দৈর্ঘ্যের একটি কাজ যার মোট মূলধন খরচ ২০২৬ কোটি টাকা, যা এনএইচআইডিসিএল দ্বারা বাস্তবায়ন হবে।
আরও বলা হয়েছে, মন্ত্রক বিভিন্ন রাজ্য সরকার / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছ থেকে রাজ্য সড়কগুলিকে নতুন এনএইচ হিসাবে ঘোষণা / আপগ্রেড করার জন্য রাজ্য সড়কগুলিকে অবিরত করে চলেছে৷ সুপ্রতিষ্ঠিত নীতির ভিত্তিতে সময়ে সময়ে রাজ্য সড়ক সহ রাজ্য সড়কগুলিকে জাতীয় মহাসড়ক হিসাবে ঘোষণা করা হয়। জাতী মহাসড়ক ঘোষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ডের মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তা হল-
- দেশের দৈর্ঘ্য/প্রস্থের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত রাস্তা।
- সংলগ্ন দেশগুলিকে সংযুক্ত করছে, রাজ্যের রাজধানীগুলির সাথে জাতীয় রাজধানী / পারস্পরিকভাবে রাজ্যের রাজধানী, প্রধান বন্দর, অ-প্রধান বন্দর, বড় শিল্প কেন্দ্র বা পর্যটন কেন্দ্র।
- পাহাড়ি ও বিচ্ছিন্ন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত প্রয়োজনে রাস্তা।
- ধমনী রাস্তা যা ভ্রমণের দূরত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে সক্ষম করে এবং যথেষ্ট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে।
- রাস্তা যা অনগ্রসর এলাকা এবং পার্বত্য অঞ্চলের বড় অংশ খুলে দিতে সাহায্য করে।
- ১০০কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক গ্রিড অর্জনে রাস্তাগুলি অবদান রাখছে।
পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান (এনএমপি) এর সাথে সমন্বয়, মন্ত্রক মানদণ্ড, সংযোগের প্রয়োজনীয়তা, আন্তঃপ্রধান অগ্রাধিকার এবং তহবিলের প্রাপ্যতার উপর ভিত্তি করে সময়ে সময়ে রাজ্য সড়ক সহ রাজ্যের কিছু রাস্তাকে জাতীয় মহাসড়ক হিসাবে ঘোষণা করে।
এনএইচএআই দ্বারা গৃহীত চার/ছয় লেনের কাজের রাজ্যভিত্তিক বিশদ বিবরণো এদিন মন্ত্রী জানিয়েছেন।তালিকা অনুযায়ী ২২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হল- অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাত, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটকা, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওডিশা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাডু, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি ও জম্মু ও কাশ্মীর।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে। সেখানে জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের কাজের সংখ্যা ৪৬। ১৬৮৪ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার ৬১২ কোটি টাকা।এরপর আছে মহারাষ্ট্র। সেখানে ১৯৬৭ কিলোমিটার জুড়ে মোট ৪৫টি জাতীয় মহজাসড়ক নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৫০ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। এরপর তৃতীয় স্থানে আছে তামিলানাডু। এই রাজ্যে ৯৬৩ কিমি জুড়ে ৩৪টি জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ হচ্ছে। এজন্য খরচ হচ্ছে ৩২ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। তবে কর্ণাটক ও বিহারেও কিন্ত্য এক হাজার কিলোমিটারের বেশি জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। কর্ণাটকে ১১৭৯ কিমি জুড়ে মোট ২৫টি জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের কাজ চলছে, এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। বিহারে ১০৩৩ কিলমিটার জুড়ে মোট ২৪টি জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ভ৩৭৫ কোটি টাকা।
তবে তালিকায় একেবারে নীচের দিকে আছে পশ্চিমবঙ্গ। বলা যেতে পারে কাজের পরিমাণের নিরীখে এই রাজ্যের স্থান ২০ নম্বরে। এই রাজ্যে মাত্র সাতটি জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। রাস্তার পরিমাণ মাত্র ৪০৫ কিলোমিটার। এজন্য খরচ হচ্ছে ১০ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা।
Published on: আগ ৯, ২০২৩ @ ২১:২৪