মতিউর-ফরহাদের যৌথ প্রকল্পে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা ধরাছোঁয়ার বাইরে!

Main দেশ বাংলাদেশ বিদেশ
শেয়ার করুন

 Published on: জুলা ১৩, ২০২৪ at ১২:০০
 হাফিজুর রহমান (শফিক), বাংলাদেশ ব্যুরো

এসপিটি বাংলাদেশ ব্যুরো:  সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ‘দুর্নীতিবাজ’ হিসেবে বহুল আলোচিত  সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা ডক্টর মতিউর রহমানের অন্যতম সহযোগী তোফাজ্জল হোসেন ফরহাদ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত ফেব্রুয়ারিতে সংবাদ প্রভাকর টাইমস মতিউরের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত হাজার কোটি টাকার সম্পদের ফিরিস্তি প্রকাশ করে। পরবর্তীতে কোরবানির ঈদে তার ছেলে রিফাত ১৫ লাখ টাকার ছাগল ক্রয় করার পর থেকেই সোশ্যাল মাধ্যমের কল্যাণে জাতীয় পর্যায়ে আরও গভীর ভাবে আলোচনায় উঠে আসে মতিউরের বিষয়টি।

ডক্টর মতিউর রহমান হয়ে উঠেন দেশের টক অফ দ্যা কান্ট্রি’।

এর পরপরই দেশের উচ্চ আদালতের নির্দেশে অবৈধ অর্জিত সম্পদ জব্দ করার পাশাপাশি দুর্নীতি দমন সংস্থা (দুদক) নড়েচড়ে বসে। পরে অর্থ মন্ত্রণালয় এক নোটিশে মতিউর রহমানকে তার পদ থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বিভাগে বদলি দেয়া হয়েছে।

‘সংবাদ প্রভাকর টাইমসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মতিউরের দুর্নীতি – অবৈধ সম্পদের জগতে অন্যতম বন্ধু ও সহযোগী ফরহাদ হোসেন দেশের দুর্নীতির আরেক মাথা। অভিযোগ, তিনি ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। পরবর্তীতে সাবেক এই রাজস্ব কর্মকর্তার বন্ধুত্বের আশীর্বাদে সাধারণ জীবন বীমা কর্পোরেশনের পরিচালক পদে আসীন হন ফরহাদ। দুটি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেন ভোরাদ নিজেও হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।এমনটাই অভিযোগ।

More Read

বাংলাদেশের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে মতিউর রহমানের ছিল মধুর সম্পর্ক !

আরও অভিযোগ, এছাড়াও দুজনের যৌথ অর্থায়নে কয়েকশো কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। যার মধ্যে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় প্রতিষ্ঠিত জেসিএক্স ডেভেলপমেন্ট নামে একটি ডেভলপার কোম্পানি রয়েছে যেটির সন্ধান খুঁজে পায়নি দুদক। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়  ওই ডেভলপার কোম্পানির অসংখ্য স্থাপনা প্রকল্প চলমান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই ডিপ্লোমার কোম্পানি ব্যতীত আরও বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রকল্প চলমান দুর্নীতিবাজ দুই বন্ধুর অর্থায়নে আছে বলে অভিযোগ।

দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত দৃশ্যমান হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা চলমান রয়েছে মতিউর ও ফরাহাদের মধ্যে। তাদের যৌথ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পসমূহ এখনো জব্দ তালিকার বাইরে থাকায় চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন দেশের অর্থনৈতিক খাত সংশ্লিষ্ট একাধিক বিশেষজ্ঞ।

Published on: জুলা ১৩, ২০২৪ at ১২:০০


শেয়ার করুন