‘এখানে আমাদের মিডিয়া নেগেটিভ আছে, শিল্পে বাংলা যে কতটা এগিয়ে গেছে তা মানুষকে জানান’

Main অর্থ ও বাণিজ্য রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ১৬, ২০২৩ @ ১৫:৪৬

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৬ মার্চ: পশ্চিমবঙ্গ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশনাল বোর্ডের সঙ্গে গতকাল বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে, রাজ্যের অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে আলোচনায় বসেছিলেন।সেখানে রাজ্যের শিল্পের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। আর সেখানেই রাজ্যের শিল্পের অগ্রগতির বিষয় নিয়ে বলার সময় বাংলার সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে রীতমতো ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলে ওঠেন- এখানে মিডিয়া নেগেটিভ আছে। তারা আপনাদের ভালো কাজ দেখেন না। আমি সংবাদ মাধ্যমকে নুরোধ করব-শিল্পে বাংলা যে কতটা এগিয়ে গেছে তা মানুষকে জানান।

আমাদের ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে প্রায় ১ লক্ষ ১৪ হাজার লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে যার মাধ্যমে প্রায় ৪১ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে।এটা ভারত সরকারের ডেটা।আমরা এই বিভাগে সেরা। আমাদের প্রচার কম হয়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বলেন- “এখানে আমাদের মিডিয়া নেগেটিভ আছে। আমি মিডিয়ারকে অনুরোধ করব, বাংলার স্বার্থে মিডিয়াগুলো অ্যাকটিভ হন। সারা ক্ষণ এ ওকে মারলো, এসব না করে এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন এবং ইন্ডাস্ট্রিতে বাংলা যে কতটা এগিয়ে গেছে এটা একটু মানুষকে জানান।”

এর পর মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন- “এগুলোতে তো ডেটা আছে। এককোটির উপর লোক এমএসএমই-তে কাজ করে। সেলফ হেল্প গ্রুপ তারা ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সারা ভারতে এক নম্বর হয়েছে। ১৩,৮৯৫ কোটি টাকা। এমএসএমই ক্লাস্টারে স্বাধীনতার ৬৫ বছরে ছিল মাত্র ৪৯টা। আর আজ আমাদের রাজ্যে এটা হয়ে গেছে ৫২১। আমি আরও কিছু ইনফরমেরশন দিচ্ছি। এটা প্রেসেরও কাজে লাগবে। এগুলো দয়া করে জানাবেন।”

“ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার কলকাতায় নিজেদের দফতরের শুভ সূচনা করতে চলেছে। কলকাতার উন্নয়নের মুকুটে এটি একটি নয়া পালক। আগামী ২১ মার্চ তাঁদের সঙ্গে আমার মউ স্বাক্ষর আছে। ওনারা ৩৫ লক্ষ স্কোয়ার ফিট জমির উপর নিজেদের দফতর তৈরি করতে ১,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে এবং এখানে প্রায় ৩০,০০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই পুরো বিষয়টির জন্য আমি আমাদের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শ্রী অমিত মিত্রের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। টাটা হিতাচি নতুন সংযোজন। টাটানগরের প্লান্ট বন্ধ করে দিয়ে তারা খড়্গপুরে চলে আসছে।”

Published on: মার্চ ১৬, ২০২৩ @ ১৫:৪৬


শেয়ার করুন