সংবাদদাতা-কৃষ্ণা দাস
Published on: সেপ্টে ৪, ২০১৮ @ ২৩:৫৯
এসপিটি নিউজ, দার্জিলিং, ৪ সেপ্টেম্বরঃ
এসপিটি নিউজ, দার্জিলিং, ৪ সেপ্টেম্বরঃ তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চুপ করে এক জায়গায় বসে থাকতে পারেন না। সব সময় কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে পছন্দ করেন। কাজ ছাড়া তিনি কিছুই বোঝেন না। বিরোধী নেত্রী থাকার সময় তিনি যেভাবে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় ছুটে বেড়িয়েছেন ঠিক তেমন আজও মুখ্যমন্ত্রী হয়ে একই ভাবে তিনি তাঁর কাজে গতি এনেছেন। তাঁর সঙ্গে কাজে কেউ পেরে ওঠেন না। আর হাঁটার ক্ষেত্রে সাংবাদিক-পুলিশ পর্যন্ত হাফিয়ে ওঠেন। আজ যেমন হল দার্জিলিংয়ে।
মুখ্যমন্ত্রীর যা বয়স এই বয়সে এক-দুই কিলোমিটার হাঁটলে তাঁর বয়সী মানুষের কথা ছেড়েই দিন অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েদের দম বন্ধ হয়ে আসবে। কেউ কেউ তো এই বয়সে গাড়ি ছাড়া চলতেই পারেন না। তাদের আবার হাফানির টান। আরও কত কি! অথচ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি মঙ্গলবার জিটিএ-এর প্রশাসনিক বৈঠক শুরুর আগে রিচমন্ড হিল থেকে লালকুঠি পর্যন্ত প্রায় ৯ কিমি পাহাড়ি পথ হাঁটলেন। ভাবতে পারেন। যারা পাহাড়ে বেড়াতে গেছেন তারা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছেন নিশ্চয়ই – পাহাড়ের রাস্তা কত কঠিন। সমতলের এক কিমি রাস্তার চেয়ে পাহাড়ের হাফ কিমি রাস্তা পার করতেই দম বেরিয়ে যায়। সেখানে ৯ কিলোমিটার পথ সটান হেঁটে গেলেন।তাঁর পাল্লায় পড়ে সাংবাদিক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তাদের তখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।’
আসলে মুখ্যমন্ত্রী এখন পাহাড়ের মানুষের কাছে চলে গেছেন। তাদের আরও আপন করে নিয়েছেন। বরাবরই তিনি এটা করে থাকেন। তাই তিনি এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। তিনি জানেন, পাহাড়ের রাস্তা দিয়ে গেলে অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে। এর মাধ্যমে জনসংযোগের কাজও হবে।
ইতিমধ্যে পাহাড়ে বিজেপি-র অবস্থান অনেকটাই দুর্বল হয়েছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এখন অনেকটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়ন আর ক্ষমতা তুলে দিয়ে পাহাড়ের বর্তমান নেতাদের তৃণমূল কংগ্রেসের অনুকূলে নিয়ে আসতে সফল হয়েছেন। আজ যখন মুখ্যমন্ত্রী পায়ে হেঁটে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন অনেক পাহাড়বাসী তাঁকে দেখে হাত নেড়েছেন। কাছে এসে কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীও পাহাড়ি পথে ক্ষণিকের বিশ্রাম নিয়ে পথের ধারের দোকান থেকে চা পান করেছেন।
বিশেষ করে দার্জিলিংযের বিজেপি সাংসদ যে এই মুহূর্তে পাহাড়ে বেশ ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন তা কিন্তু তাঁকে পাহাড়বাসীর কালো পতাকা দেখানোর মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর ফলে পাহাড়ে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে যে বিজেপি পিছিয়ে পড়বে তেমনটাও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Published on: সেপ্টে ৪, ২০১৮ @ ২৩:৫৯