সংবাদদাতা-কৃষ্ণা দাস
Published on: সেপ্টে ৬, ২০১৮ @ ০০:৩২
এসপিটি নিউজ, দার্জিলিং, ৫ সেপ্টেম্বরঃ দার্জিলিং-এর কৃষ্টি-সংস্কৃতি-শিক্ষা-ঐতিহ্য আজও সারা বিশ্বে নজর কাড়ে। দার্জিলিংকে জানতে চিনতে অনেকই ছুটে আসেন এখানে। সেই ধারাকে আরও বেশি করে যাতে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া যায় সেজন্য এক বৃহৎ উৎসবের আয়োজন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। যার প্রধান উদ্যোক্তা স্বনয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।২০১৯ সালে আয়োজিত হতে যাওয়া এই উৎসবের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এশিয়ান কালচারাল ফেস্টিভ্যাল’।
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে-র সঙ্গে এই উৎসব নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই উৎসবকে কিভাবে সফল করা যায় তা নিয়ে তৎপর হবে রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে, এই উৎসবে যে প্রতিযোগিতা হবে তাতে গোটা বিশ্বের কাছে দার্জিলিঙ’এর সংস্কৃতি প্রথম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাই দার্জিলিং-এর শিক্ষা সংস্কৃতির একটা বিশেষ মান আছে, আর তাই তার টানে রাজ্য, দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ছেলেমেয়েরা পাহাড়ে পড়াশোনা করতে আসে্ন।দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পঙ সহ গোটা পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতির ভুয়সী প্রশংসা করতে গিয়ে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। এইসময় তিনি ভুটানের রাজার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন-ভুটানের রাজা কার্শিয়াঙের গ্রাহাম স্কুলে তাঁর ছোটবেলার স্মরণীয় শিক্ষাজীবনের কথা জানিয়েছেন।সেখানকার প্রধানমন্ত্রীও পাহাড়ের শিক্ষা ক্ষেত্রের প্রশংসা করায় গর্বে আমার মাথা উঁচু হয়ে গেছিল সেদিন।
সবশেষে তিনি আরও একবার স্পষ্ট করে বলেন, “পাহাড়ের অশান্তি, ঝামেলাকে দূরে সরিয়ে আগামী দিনে দীর্ঘস্থায়ী, মধ্যস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার পাহাড়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে। পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নে রাজ্য সরকার সর্বোতভাবে চেষ্টা করবে রাজ্য সরকার।”
Published on: সেপ্টে ৬, ২০১৮ @ ০০:৩২