Published on: ফেব্রু ৫, ২০১৮ @ ২১:১০
এসপিটি নিউজ, শিলিগুড়ি, ৫ ফেব্রুয়ারিঃ রাজ্যের উন্নয়নে কোনও বৈষম্য না রেখে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মা-মাটি-মানুষের সরকার মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে। আর সেই কাজে নানাভাবে ব্যাঘাত ঘটানোর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের বিরোধীদলগুলি। সোমবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে দলের জনসভায় দাঁড়িয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো কড়া ভাষায় সমালোচনায় বিদ্ধ করে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপিকে।
তিনি বলেন, এই তো চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন সিপিএম দল একটা কর্পোরেশনের দায়িত্ব পেয়েছে তাও ভাল করে কাজ করতে পারে না।শুধু রোজ বিবৃতি দেওয়া। আর গণ্ডগোল পাকানো ছাড়া আর কোনও কাজ নেই। আর তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করতে করতে পার্টিটাই আজ উঠে গেছে সম্পূর্ণ ভাবে। কংগ্রেস দলের তো বাংলায় যার কিছুই নেই ‘না ঘরকা না ঘাটকা’। ২০১৬তে আপনারা দেখেছেন কিভাবে সিপিএমের সাথে কংগ্রেস আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে চলেছে। আর একটা রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছে কংগ্রেস আর সিপিএমের পাপ মিলিয়ে- সেই দলটার নাম বিজেপি। তাদের প্রচুর টাকা।
বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির কড়া সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাশে আসাম রাজ্য। আসামে বসে কোচবিহারে কি করে দাঙ্গা লাগানো যায়, জলপাইগুড়িতে কি করে ভাগাভাগি করা যায়, আলিপুরদুয়ারে কি করে দাঙ্গা লাগানো যায়, বালুরঘাটে কি করে হিন্দু-মুসলমান করা যায়, উত্তর দিনাজপুরে কি করে গণ্ডগোল করা যায়, দক্ষিণ দিনাজপুরে কি করে গণ্ডগোল করা যায়, একটাই কাজ মালদা কি করে ভেঙে দেওয়া যায়। বাংলাকে এরা ভালবাসে না।”
তারপরই তাঁর প্রশ্ন-বাংলাকে কি দিয়েছে এরা? কিছুই দেয়নি।বাংলাকে সবচেয়ে বেশি বঞ্চনা করা হয়েছে।বাংলাকে বঞ্চনা করে বাংলাকে মাথা নত করা যাবে না, বাংলাকে বঞ্চনা করে তৃণমূল কংগ্রেসকে মাথা নত করা যাবে না।শুধু গালাগালি দিলে হবে? বিজেপির মন্ত্রীরা উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের কাজ করতে আসে না। বাক্স নিয়ে আসে। সেই বাক্সে কাগজ আছে না টাকা আছে সেটা তো এখানকার সাংবাদিকরাও জানে স্থানীয় মানুষরাও জানে। টাকার বিনিময়ে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়নি। আর টাকায় তৃণমূল কংগ্রেসকে তৃণমূল কংগ্রেসকে স্তব্ধ করতে পারবেন না। এদের একটাই কাজ দাঙ্গা লাগানো আর বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে মদত দেওয়া। আর হচ্ছে মানুষে-মানুষে ঝগড়া লাগিয়ে দেওয়া, বলেন মমতা।
আসাম প্রসঙ্গ টেনে তিনি ফের বলেন, “পাশে আসাম রাজ্য আছে। হঠাৎ শুরু হল বাঙালি হঠাও আসাম বাঁচাও। আমরা বলেছিলাম বাংলার মানুষ বিপদে পড়লে আমরা তাদের রক্ষা করব। আসামে যখন বন্যা হয়েছিল তখন জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে আমরা তাদের অতিথি করে রেখে দিয়েছিলাম।আসামের ভাইবোনরাও আমাদের ভাইবোন।আমরা মানুষে-মানুষে ভাগাভাগি করি না।এবং কখনও তা করতেও চাই না।আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি রাজবংশী ও কামতাপুরি ভাষাকে অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য।”
ছবি সৌজন্যে ফেসবুক
Published on: ফেব্রু ৫, ২০১৮ @ ২১:১০