সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-রামপ্রসাদ সাউ
Published on: ফেব্রু ১৮, ২০১৮ @ ০০:৫৩
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ১৭ফেব্রুয়ারিঃ তারা একই ক্লাসে পড়ে। অথচ তাদের মদ্যে কেউ কেউ বড় অসহায়। লেখাপড়ার ইচ্ছা থাকলেও পারে না বই-খাতা কিনতে। যার জন্য ক্লাসে অনেক সময় তাদের হেয় হতে হয়।সহপাঠীদের হেয় হতে দেখে ক্লাসের অন্য বন্ধুদের মনে খুব কষ্ট হয়। তারা ঠিক করে ওডের জন্য কিছু করা দরকার। যেমনভাবা তেমন কাজ। দেরী করে নি তারা।বাড়ি থেকে দেওয়া টিফিনের পসা বাঁচিয়ে তারা অশায় গরিব বন্ধুদের জন্য কিনেছে শিক্ষাসামগ্রী। সেগুলিএদিন স্কুলের সিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে তারা তুলে দিয়েছে তাদেরই বন্ধুদের হাতে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের এমন উদ্যোগ দেখে আপ্লুত মেদিনীপুর সদর ব্দলকের চুয়াডাঙা হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তারা বলছেন-পথ দেখাল ওরা।
সতীর্থদের পাশে দা়ঁড়াল ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা। আজ মেদিনীপুর সদর ব্লকের চুয়াডাঙা হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর এ সেকশানের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে সেই টাকায় নিজেদের শ্রেণীর ও পঞ্চম শ্রেণীর অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়াদের হাতে শিক্ষাসামগ্রী তুলে দিল। শনিবার বিদ্যালয়ের প্রার্থনা সভায় ঘরোয়া ভাবে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর ২৫ জন ছাত্রছাত্রীর খাতা, কলম ও একটি করে ফোল্ডার তুলে দেওয়া হয় উদ্যোক্তা ছাত্র-ছাত্রীদের তরফ থেকে। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু সিনহা, ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মাতুয়ার মল্লিক সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া।
শিক্ষাসামগ্রী পেয়ে একদিকে যেমন খুশি রোশনী খাতুন, জায়েদ খাঁন, খুশবু খাতুন, ফরিদা খাতুনরা তেমনি অন্যদিকে বন্ধুদের ও ভাই বোনদের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি যুবরাজ খাঁন, আরিয়ান বক্স, সূরেষ্ণা খাতুন,স্বপ্নদীপ ঘোষ, স্বাতী সামন্ত, রামিজ ইসলাম, রিত্তিকা পারভীন, শুভজিৎ খাঁনরা। যারা এদিন খাতা কলম পেল তাদের কারও বাবা বালি খাদান শ্রমিক, কারও বাবা বিড়ি শ্রমিক, কারও বাবা রাজমিস্ত্রির যোগানদার।
সাহায্যকারীদের পক্ষে যুবরাজ খাঁন জানায়, অনেক সময় খাতা-কলমের অভাবে ক্লাশে অনেক বন্ধুদের লিখতে না পারা দেখে, তাদের এই উদ্যোগ। ছাত্র-ছাত্রীদের এই উদ্যোগে খুশি প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু সিনহা সহ গোটা বিদ্যালয়। শুভেন্দুবাবুর কথায়, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের এই উদ্যোগ অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদেরও এই ধরনের ভালো কাজে উৎসাহিত করবে।
ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলার শিক্ষিকা জয়শ্রী মাইতির কথায়, ছাত্র-ছাত্রীদের এই উদ্যোগ মহৎ ও অভিনন্দনযোগ্য । বিদ্যালয়ের সহশিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া ও মাতুয়ার মল্লিকের কথায়, ছাত্র-ছাত্রীদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং আগামী দিনে আরও ভালো কাজ করতে আমাদের উৎসাহিত করবে।
Published on: ফেব্রু ১৮, ২০১৮ @ ০০:৫৩