ফের অডিও বার্তায় সিআইডি-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ ভারতীর-আপনাদের কাজের চুলচেরা হিসেব নেবে আদালত

রাজ্য
শেয়ার করুন

এসপিটি নিউজ, ১৯ ফেব্রূয়ারিঃ সোমবার সিআইডির জালে ধরা পড়ল প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ ঘনিষ্ঠ আর এক পুলিশ অফিসার প্রদীপ রথ। এই নিয়ে ভারতী ঘনিষ্ঠ মোট চারজন পুলিশ অফিসারকে গ্রেফতার করল সিআইডি। এবার তারা ভারতীর ব্যাঙ্কের লকার ভাঙবে বলে খবর ছড়িয়েছে। এই খবর পেয়েই রীতিমতো তেঁতে উঠেছেভ একসময়ের মাওবাদীদের ত্রাস পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি ভারতী ঘোষ।অডিও বার্তায় ভারীর হুঁশিয়ারি-কাজ নেই কম্ম নেই ভদ্র সভ্য লোকেদের বাড়ীতে ঢুকে সোনাদানা টাকাপয়সা তুলে নিয়ে গিয়ে ৩৭৫ গ্রাম সোেনাবেচার ইনভেস্টিগেশন করছেন আপনারা? কি ভেবেছেন, ভারতী ঘোষ চুপ করে থাকবে?

এরপর ভারতী যা বললেন- তা তুলে ধরা হল-

আমি বাংলার মানুষকে ও ভারতের যারা নাগরিক তাদের জানাতে চাই পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তার সমস্ত রাষ্ট্রশক্তি নিয়ে আমার পিছনে পড়ে আছে। ওদের আর কোনও কাজ নেই তাদের একটাই কাজ ভারতী ঘোষের পিছনে লাগা। এখন সিআইডি আমার ব্যাঙ্কে গেছে ব্যাঙ্কের মধ্যে যে লকার আছে সেই লকার তারা নাকি ভাঙবে! দাসপুরে যে কেসটা হয়েছে সেই কেসটায় একটি  চাউমিন বিক্রেতাওয়ালা ৩৭৫গ্রাম সোনা কিছু লোককে নাকি বেচেছিল চাউমিন বিক্রেতাওয়ালা কেন বেচলো সোনা কোথা থেকে সে সোনা কেনা বেচার লাইসেন্স পেল তা কেউ খুঁজল না, যাই হোক সে নাকি বেচেছিল এই তিন চারটে লোক নাকি তাকে  টাক দেয়নি। এই ৩৭৫ গ্রাম সোনা সিআইডি খুঁজতে খুঁজতে প্রতিটা লোকের বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে তাদের বাড়িতে যত সোনা আছে যত টাকা আছে সব ধরে ধরে তাদের পকেটে পুড়ছে। এরকম করতে করতে তারা আমার ব্যাঙ্ক লকার খুলবে এবং ভাঙবে তার অর্ডার নাকি নিয়ে এসছে। আরে ভাই ১৯৯৪ সালে আজ থেকে প্রায় ২৪ বছর আগে আমার পুলিশের  চাকরিতে ঢোকার আগে আমি আমার অ্যাসেস স্টেট্মেন্ট গরমেন্টের কা ছে দিয়েছিলাম যাতে লেখা আছে আমার বাবা মধুপুরের জমিদারবাড়ির বড়ছেলে আমি জমিদার বংশের মেয়ে আমাই সেই পরিবার থেজকে এসছি আমার ৭৫ তোলা সোনা আমাকে বিয়ের সময় দিয়েছিল। তারও হিসেব আমি আমার অ্যাসেস স্টেট্মেন্টে দিয়েছি। আর্ব আজ ২৪ বছর ধরে কাজ করে আমার যেটুকু সোনা আছে লিগ্যাল সোনা ইনকাম ট্যাক্স ডিক্লেয়ার গরমেন্ট স্টেট্মেন্টে দেওয়া সেটাকে ভেঙে তুলে নিয়ে যাবে। তার জন্য সি আই ডি তৈরি হচ্ছে।আমি এটাই বলি- নেই কাজ তো খই ভাজ। কাজ নেই কম্ম নেই ভদ্র সভ্য লোকেদের ঘরে ঘরে ঢুকে তাদের সোনাদানা-টাকাপয়সা তুলে নিয়ে গিয়ে দাসপুরে ৩৭৫ সোনা কেনাবেচার ইনভেস্টিগেশন করছেন আপনারা? আপনারা কি ভাবছেন এখানেই জিনিসটা মিটে যাবে? আদাওলত নেই আইন নেই? ভারতী ঘোষ চুপ করে থকবে? তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন।এটা আগেও আমি বলেছি এখনও আমি বলছি। আপনাদের কাজের হিসেব আদালত নেবেন এবং উচ্চতর আদালতে আমি যাব এবং সেটা দেশবাসী ও বাংলার মানুষ দেখবে। শেষ কোথায় হয়।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 4 = 2