এসপিটি নিউজ ,দুর্গাপুর : কয়েক মাস আগে কলকাতায় শিশু চুরির ঘটনার পর ফের দুর্গাপুরে মহকুমা হাসপাতাল থেকে এক সদ্যোজাত শিশুর রহস্যজনক নিখোঁজের ঘটনা ঘটল।রবিবার বিকেল থেকে এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য প্রসূতির অভিযোগ, সদ্যজাত শিশুপুত্রকে টিকা খাওয়াতে নিয়ে যাচ্ছিল হাসপাতালের নার্সরা।শরীর দুর্বল থাকায় হঠাত করে তার মাথাটা ঘুরে যায়। তিনি মাটিতে পড়ে যান। জ্ঞান ফেরার পর দেখেন তার সদ্যোজাত শিশুপুত্র উধাও। ছড়িয়েছে।কিভাবে এই শিশু নিখোঁজ হল তার সদুত্তর দিতে পারেনি হাসপাতাল কতৃপক্ষ। রবিবার তারপর থেকে হাসপাতালে মোতায়েন আছে এন.টি.এস ও বিধাননগর ফাঁড়ির পুলিশ।টিকা দিতে নিয়ে যাওয়ার সময় কিভাবে শিশুটি নিখোঁজ হয়ে গেল তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে দুর্গাপুর হাসপাতালে।
অভিযোগ, শনিবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে দুর্গাপুরে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন পাপিয়া বিবি। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর তিলক রোড বস্তি এলাকার বাসিন্দা পাপিয়া রবিবার ভোর ৬টা নাগাদ এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। সেই সময় হাসপাতালে তার স্বামী শেখ রফিক সহ পরিবারের আরও কয়েকজন হাজির ছিলেন। এরপর মা ও সদ্যজাত শিশুপুত্রকে সুস্থ থাকতে দেখে তারা রবিবার বেলা প্রায় ১১টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে যান । এরপর বেলা প্রায় ১২টা নাগাদ কর্তব্যরত নার্সরা পাপিয়ার কাছে এসে জানান, সদোজাতকে পোলিও টিকা খাওয়াতে হবে।তিনি সেইসময় অত্যন্ত দুর্বল থাকায় সদ্যোজাত শিশুপুত্রকে উপস্থিত নার্সরা কোলে তুলে নেয়। পাপিয়া নার্সদের পিছু পিছু যেতে থাকেন। কিছু দূরে গিয়েই তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। এর কিছুক্ষন পরে পাপিয়ার জ্ঞান ফিরে আসে। দেখেন সদ্যোজাত শিশুপুত্র তার পাশে নেই।নার্সদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে, বাড়ির লোক এসে নিয়ে চলে গেছে, এমনই অভিযোগ করেছে পাপিয়া। তার দাবি, ছোট নার্সদের কোলেই তার সদ্যজাত শিশুপুত্রটি ছিল। বেলা গড়িয়ে বিকেল ৪টে নাগাদ হাসপাতাল থেকে ফোন করা হয় তার বাড়িতে। খবর দেওয়া হয় স্বামী শেখ সফিককে। খবর পেয়েই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ছূটে আসেভ। তারা কর্তব্যরত নার্সদের গাফিলতিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ সহ বিধান নগর ফাঁড়ির পুলিশ।
সূত্রের খবর, হাসপাতালের মুল প্রবেশদ্বারে সিসিটিভি থাকলেও সেগুলি বেশিরভাগই কাজ করে না । তাই এখন প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতাল থেকে কিভাবে এই শিশু উধাও হল তা কিভাবে দেখবে পুলিশ? যদিও হাসপাতাল সুপার ডাক্তার দেবব্রত দাস এবং পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদাভাবে ঘটনার তদন্তের কথা জানানো হয়েছে।