সংবাদদাতা: বেবী সরকার
এসপিটি নিউজ, দুর্গাপুর : ছাদ থেকে পড়ে প্রধান শিক্ষিকার মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ রহস্য দানা বাধছে। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি বহুতলের নীচে ওই মহিলার দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে চিকিতসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। আবাসনে রান্না করার সময় কেন তিনি ছাদে উঠে গেলেন, কেন তার সঙ্গে ছেলেও ছাদে উঠে গেছিল, মায়ের সঙ্গে কি কথা হয়েছিল ছেলের, ছেলে নেমে যাওয়ার পর ঠিক কি হয়েছিল, ওই মহিলাকে কি কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছিল, না কি তিনি স্বেচ্ছায় ছাদ থেকে ঝাপ দিয়েছিলেন এমন অনেক প্রশ্ন দানা বাধছে। মৃত ওই প্রধান শিক্ষিকার নাম সোমা ব্যানার্জী সামন্ত(৪৫)। এটা আত্মহত্যা না খুন তা নিয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিশ।
বুদুবুদ গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সোমা ব্যানার্জ্জী সামন্ত (৪৫ বছর) বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের বিধাননগরের নিজেদের ফ্ল্যাটের চারতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।সেইসময় সোমাদেবী এবং তার একমাত্র সন্তান আয়ুষ সামন্ত নিজেদের এই ফ্ল্যাটে যান।আয়ুষ এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে।তাই সে পড়ছিলো।আর সোমাদেবী রাতের খাবার তৈরীর কাজে ব্যাস্ত থাকতে থাকতে হটাথ ছাদে যান।এরপরেই তিনি লাফ দেন চারতলা থেকে।জোরালো আওয়াজ পেয়ে অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা নীচে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় সোমাদেবী কে দেখতে পান।তড়িঘড়ি তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেকে ডাক্তাররা সোমা ব্যানার্জ্জী সামন্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নিউটাউনশীপ থানার পুলিশ।যে সময় সোমাদেবী চারতলা থেকে ঝাঁপ দেন সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না তার স্বামী অমিয় সামন্ত।তিনি দুর্গাপুরের এন আই টি র কর্মী।ছাদে গিয়ে সোমা দেবী তার সন্তান আয়ুষের সাথে কথা বলেন।আয়ুষ পড়বার জন্য নীচে নামতেই সোমাদেবী ঝাঁপ দেন।কিন্তু কি কারণে তিনি ঝাপ দিলেন এই প্রধান শিক্ষিকা?স্কুলের পক্ষ থেকে শুক্রবার যারা সোমাদেবীর বাড়িতে আসেন তারা বলেন শারীরিক অসুস্থ থাকার কারণ সোমাদেবী এভাবে মৃত্যুর পথ বেছে নিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।আবার সোমাদেবীর ননদ ছবি মাজির দাবী ওর স্কুলে কিছু সমস্যা হচ্ছিলো।কি সমস্যা জানিনা।শারীরিক ভাবে খুব অসুস্থ ছিল বলে জানি না।সোমার মৃতদেহ শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠান হয়।সোমার মোবাইল ফোন নিউটাউনশীপ থানার পুলিশ নিয়ে খতিয়ে দেখছেন যে মৃত্যুর আগে তিনি কার কার সাথে কথা বলেন।