Published on: সেপ্টে ৩, ২০২০ @ ২৩:২০
Reporter: Biswajit Panda
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রা্ম, ৩ সেপ্টেম্বর: পশ্চিমবঙ্গের সৌভাগ্য যে এখানে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় হাতির দল ঘুরে বেড়ায়। আর এত বিশাল সংখ্যক হাতি নিয়ে রীতিমতো বিপাকে স্থানীয় বন দফতর থেকে গ্রামের মানুষজন। এই হাতির দলের দাপাদাপির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার এক মাত্র উপায় হল হাতি করিডর, যা ইতিমধ্যে উত্তরাখণ্ডে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।এই ঝড়গ্রাম এলাকাতেও হাতির করিডর হলে স্থানীয় মানুষ তো বটেই বন দফতরের কর্মীদের খাতা কলম নিয়ে ক্ষতিপূরণের তালিকা বানাতে হত না। রাজ্য বন দফতর এখনই যদি এটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা না করে তাহলে এখানকার মানুষজনকে হয়তো আগামিদিনে আরও বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে।
Elephnats cross the road at Jhargram today. pic.twitter.com/zEZiBUDcyJ
— SANGBADPRABHAKARTIMES (@SANGBADPRABHAK2) September 3, 2020
বৃহস্পতিবার সাতসকালে যেমনটা ঘটল। ঝাড়গ্রামের জারুলিয়া গ্রামে দলমা থেকে চলে এসেছিল ৩০টির বেশি দাঁতাল হাতির দল। হাতিগুলি গোটা এলাকা দাপিয়ে বেড়িয়েছে। ধানের ক্ষেত থেকে সবজির ক্ষেত সব কিছু দাপিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে।মূলত, খাবারের সন্ধানেই তারা চলে আসে বারেবারে লোকালয়ে। মানুষজন আতঙ্কে ছোটাছুটি করে, বন দফতর ক্ষতিপূরণের হিসেব নিয়ে বেড়ায়। এই নিয়েই এখানকার বন দফতরের রোজকার সংসার।
তবে পরিস্থিতি যেভাবে দিনের পর দিন ভয়াবহ আকার নিচ্ছে তাতে এই এলাকায় অবিলম্বে যদি হাতির করিডর করার উদ্যোগ না নেওয়া হয় তাহলে আগামিদিনে এখানকার মানুষজনকে যে এর চেয়ে অনেক বড় মূল্য চোকাতে হবে তা কিন্তু পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তাই হাতি সংরক্ষণের পাশাপাশি জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় বসবাসরত মানুষজনকে সুরক্ষিত রাখতে এখন থেকেই এই এলাকাকে যাতে হাতি করিডর হিসেবে তৈরি করা যায় সেদিকে নজর দেওয়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে।
Published on: সেপ্টে ৩, ২০২০ @ ২৩:২০